• অধ্যায় ১১: ইন্দ্রের অসুর সংহার
    Oct 6 2024

    শ্রীমদ্ভাগবতম, অষ্টম স্কন্ধ, একাদশ অধ্যায় "রাজা ইন্দ্রের দ্বারা অসুরদের বিনাশ" শিরোনামে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে প্রধান ঘটনাগুলি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:

    এই অধ্যায়ে, দেবতারা, রাজা ইন্দ্রের নেতৃত্বে, অসুরদের বিরুদ্ধে তীব্র যুদ্ধে লিপ্ত হন। ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে দেবতারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন। রাজা ইন্দ্র তার শক্তিশালী বজ্র অস্ত্র ব্যবহার করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা অসুরদের পরাজয়ে সহায়ক হয়। অবশেষে, দেবতারা বিজয়ী হন এবং মহাবিশ্বে ভারসাম্য ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।



    Show More Show Less
    10 mins
  • অধ্যায় ১০: দেবতা এবং দানবদের মধ্যে মহাযুদ্ধ
    Oct 6 2024

    শ্রীমদ্ভাগবতমের অষ্টম স্কন্ধের দশম অধ্যায়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে মহাযুদ্ধের বর্ণনা রয়েছে। এই অধ্যায়ে, দেবতারা অসুরদের দ্বারা পরাজিত হয়ে ইন্দ্রের নেতৃত্বে ব্রহ্মার কাছে সাহায্যের জন্য যান। ব্রহ্মা তাদেরকে ভগবান বিষ্ণুর শরণাপন্ন হতে বলেন। ভগবান বিষ্ণু দেবতাদের আশ্বস্ত করেন এবং তাদেরকে অসুরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য কৌশল দেন। এই অধ্যায়ে মূলত দেবতা ও অসুরদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় দেবতাদের বিজয়ের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।

    Show More Show Less
    11 mins
  • অধ্যায় ০৯: মোহিনী অবতার
    Oct 4 2024

    শ্রীমদ্ভাগবতমের অষ্টম স্কন্ধের নবম অধ্যায় মূলত ভগবান বিষ্ণুর মোহিনী-মূর্তি অবতারের কাহিনী নিয়ে। এই অধ্যায়ে, দেবতারা এবং অসুররা সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃত লাভের জন্য একত্রিত হয়। যখন অমৃত বের হয়, তখন অসুররা তা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করে। দেবতাদের সাহায্য করার জন্য, ভগবান বিষ্ণু মোহিনী-মূর্তির রূপ ধারণ করেন, যা অত্যন্ত সুন্দরী নারী রূপে প্রকাশিত হয়। মোহিনী-মূর্তি অসুরদের মুগ্ধ করে এবং কৌশলে অমৃত দেবতাদের মধ্যে বিতরণ করেন.


    এই অধ্যায়ে ভগবান বিষ্ণুর কৌশল এবং অসুরদের মুগ্ধ করার ক্ষমতা বর্ণিত হয়েছে, যা দেবতাদের রক্ষা করতে সহায়ক হয়।

    Show More Show Less
    7 mins
  • অধ্যায় ০৮: লক্ষ্মীদেবীর উত্থান
    Oct 3 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের অষ্টম স্কন্ধের সপ্তম অধ্যায়ে সমুদ্র মন্থনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়ে দেবতা ও অসুররা অমৃত লাভের জন্য ক্ষীরসমুদ্র মন্থন করেন। মন্থনের জন্য তারা মন্দার পর্বতকে মন্থনদণ্ড এবং বাসুকি নাগকে মন্থনদড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন। মন্থনের সময় এক ভয়ঙ্কর বিষ, হলাহল, উৎপন্ন হয় যা সমগ্র বিশ্বকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।


    এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য মহাদেব শিব সেই বিষ পান করেন। বিষ পান করার ফলে তার কণ্ঠ নীল হয়ে যায় এবং তিনি নীলকণ্ঠ নামে পরিচিত হন। মহাদেবের এই ত্যাগ ও করুণার কাহিনী এই অধ্যায়ে বিশেষভাবে উল্লেখিত হয়েছে।


    Show More Show Less
    11 mins
  • অধ্যায় ০৭: শিবের কালকূট বিষপান
    Oct 2 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের অষ্টম স্কন্ধের সপ্তম অধ্যায়ে ভগবান শিবের মহিমা বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়ে, সমুদ্র মন্থনের সময় ঘটে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ### মূল পয়েন্টগুলি: - **সমুদ্র মন্থন**: দেবতা ও অসুররা অমৃত লাভের জন্য সমুদ্র মন্থন শুরু করে। এই মন্থনের সময় অনেক মূল্যবান বস্তু ও জীবের আবির্ভাব ঘটে। - **হালাহল বিষ**: সমুদ্র মন্থনের সময় একটি ভয়ঙ্কর বিষ, হালাহল, উৎপন্ন হয় যা সমগ্র বিশ্বকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। - **ভগবান শিবের ত্যাগ**: ভগবান শিব এই বিষ পান করে সমগ্র বিশ্বকে রক্ষা করেন। তিনি বিষটি নিজের কণ্ঠে ধারণ করেন, যার ফলে তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায় এবং তিনি "নীলকণ্ঠ" নামে পরিচিত হন। ### উপসংহার: এই অধ্যায়টি ভগবান শিবের অসীম ত্যাগ ও করুণার উদাহরণ প্রদান করে। তাঁর এই ত্যাগের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব রক্ষা পায় এবং দেবতা ও অসুররা তাদের মন্থন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়হয়।

    Show More Show Less
    11 mins
  • অধ্যায় ০৬: সমুদ্রমন্থনের জন্য দেবতা এবং অসুরদের সন্ধি
    Oct 1 2024
    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের অষ্টম স্কন্ধের ষষ্ঠ অধ্যায়ে দেবতারা এবং অসুররা একত্রিত হয়ে সমুদ্র মন্থনের জন্য একটি সন্ধি স্থাপন করে। এই অধ্যায়ে মূলত দেবতাদের এবং অসুরদের মধ্যে সমুদ্র মন্থনের প্রক্রিয়া এবং তার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সমুদ্র মন্থনের সময়, দেবতারা এবং অসুররা মন্দার পর্বতকে মন্থনদণ্ড এবং বাসুকি নাগকে মন্থনের দড়ি হিসেবে ব্যবহার করে। এই মন্থন থেকে অনেক মূল্যবান বস্তু এবং দেবতারা ও অসুরদের জন্য উপকারী বস্তু বেরিয়ে আসে। তবে, মন্থনের সময় প্রথমে বিষ উৎপন্ন হয়, যা সমগ্র বিশ্বকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এই বিষ থেকে বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য, মহাদেব শিব বিষ পান করেন এবং তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়, যার ফলে তিনি নীলকণ্ঠ নামে পরিচিত হন। এই অধ্যায়ে দেবতাদের এবং অসুরদের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে সমুদ্র মন্থনের প্রক্রিয়া এবং তার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এটি আমাদের শেখায় যে, সহযোগিতা এবং একত্রিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বড় বড় কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব।
    Show More Show Less
    9 mins
  • অধ্যায় ০৫: ভগবান বিষ্ণুর কাছে দেবতাদের সুরক্ষা প্রার্থনা
    Oct 1 2024
    শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ এর অষ্টম স্কন্ধের পঞ্চম অধ্যায়ে দেবতারা ভগবান বিষ্ণুর কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেন। এই অধ্যায়ে দেবতারা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং ভগবান বিষ্ণুর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। দেবতারা তাদের শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন এবং অসুরদের দ্বারা পরাজিত হচ্ছেন। ভগবান বিষ্ণু তাদের আশ্বস্ত করেন এবং তাদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন। এখানে উল্লেখিত ঋষি দুর্বাসা এবং দেবরাজ ইন্দ্রের কাহিনী হিন্দু শাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই কাহিনীটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ এটি সমুদ্র মন্থনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। একবার ঋষি দুর্বাসা দেবরাজ ইন্দ্রকে একটি পুষ্পমালা উপহার দেন। ইন্দ্র সেই মালাটি তার হাতি ঐরাবতের গলায় পরিয়ে দেন, কিন্তু হাতিটি মালাটি মাটিতে ফেলে দেয়। অপমানিত হয়ে ঋষি দুর্বাসা ইন্দ্রকে অভিশাপ দেন, যার ফলে দেবতারা তাদের শক্তি, সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধি হারিয়ে ফেলে। এই অভিশাপের ফলে দেবতারা অসুরদের দ্বারা পরাজিত হতে থাকেন এবং তাদের শক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য ভগবান বিষ্ণুর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। ভগবান বিষ্ণু তাদের সমুদ্র মন্থনের পরামর্শ দেন, যার মাধ্যমে অমৃত প্রাপ্তি সম্ভব হবে। এই অমৃত পান করে দেবতারা তাদের শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন। এই কাহিনীটি আমাদের শেখায় যে অহংকার এবং গুরুজনদের প্রতি অবহেলা কখনোই ভালো ফল দেয় না এবং সঠিক পথে চলার জন্য আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে। এই অধ্যায়টি আমাদের আরও শেখায় সর্বদা বিষ্ণুর শরণে যাওয়া উচিত I কারণ ভগবান বিষ্ণুর পারেন আমাদের যাবতীয় বিপদ থেকে উদ্ধার করতে I
    Show More Show Less
    13 mins
  • অধ্যায় ০৪: শ্রীবিষ্ণুর মহিমা
    Sep 25 2024

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ এর অষ্টম স্কন্ধের চতুর্থ অধ্যায়ে গজেন্দ্রের মুক্তির কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এখানে গজেন্দ্র নামক এক হাতির কাহিনী বলা হয়েছে, যিনি একবার এক হ্রদে জল পান করতে গিয়ে এক কুমিরের আক্রমণের শিকার হন।

    ■গজেন্দ্রের প্রার্থনা ও মুক্তি
    গজেন্দ্র যখন কুমিরের সাথে লড়াই করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তখন তিনি ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করেন এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন। গজেন্দ্রের প্রার্থনা এতটাই আন্তরিক ছিল যে ভগবান বিষ্ণু তৎক্ষণাৎ তাঁর বাহন গরুড়ের উপর চড়ে এসে গজেন্দ্রকে মুক্ত করেন। ভগবান বিষ্ণু কুমিরকে বধ করেন এবং গজেন্দ্রকে মুক্তি দেন।

    ■আধ্যাত্মিক শিক্ষা
    এই কাহিনী থেকে আমরা শিখতে পারি যে, ভক্তের আন্তরিক প্রার্থনা কখনো বৃথা যায় না। ভগবান সর্বদা তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন এবং তাঁদের কষ্ট দূর করেন। গজেন্দ্রের প্রার্থনা আমাদের শেখায় যে, জীবনের যেকোনো সংকটে ভগবানকে স্মরণ করা উচিত এবং তাঁর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা উচিত।

    ■উপসংহার
    গজেন্দ্রের মুক্তির কাহিনী শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাহিনী। এটি আমাদের ভক্তি ও বিশ্বাসের গুরুত্ব বোঝায় এবং ভগবানের করুণা ও দয়া সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে।

    Show More Show Less
    5 mins